Phone: 01818940928
Email: info@cdba.com

ইতিহাস ও ঐতিহ্য

কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতি ১৮৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রায় ১৫০ বৎসরের ঐতিহ্যে লালিত কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতি। এ সমিতির রয়েছে অনেক গৌরবোজ্জল ইতিহাস। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সহ জনগনের সকল ন্যায্য অধিকার আদায়ে বিভিন্ন সময়ে এ বারের বিজ্ঞ সদস্যগন গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেছে যা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা আছে।


কুমিল্লার বিচার বিভাগ ও কুমিল্লা বার এসোসিয়েশনে ব্রিটিশ আমল থেকেই আইন জগতের নানা দিক পালের পদচারণা রয়েছে। কুমিল্লা বিচার বিভাগ থেকে যেমন অনেক বিচারক কলকাতা হাইকোর্ট ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হয়েছেন, তেমন কুমিল্লার আইনজীবীদের অনেকেই দেশের প্রথিতযশা আইনজ্ঞ, আইনসভা ও গণপরিষদের সদস্য, মন্ত্রীসহ নানা পর্যায়ে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। উদাহরণ হিসেবে পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, ত্রিপুরার প্রধানমন্ত্রী রায় বাহাদুর মোহনী মোহন বর্ধন, কলিকাতা হাই কোর্টের প্রথম মুসলিম বিচারপতি স্যার সৈয়দ সামছুল হুদা, ভারতের কেন্দ্রীয় আইনসভার ডেপুটি স্পিকার অখিল চন্দ্র এডভোকেট, পাকিস্তানের প্রথম কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কামিনী কুমার এডভোকেট, বাংলাদেশের আইন মন্ত্রী এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। কুমিল্লার জেলায় দায়িত্ব পালন করে স্বাধীন বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিচারপতি মোহাম্মদ হামিদুল হক, বিচারপতি শিকদার মকবুল হক, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি মোঃ শওকত হোসেন, বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি আতাবুল্লাহ্ প্রমুখ।


বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে কুমিল্লার আইন ও বিচার অঙ্গনের রয়েছে ঐতিহাসিক ভূমিকা। বৃটিশ ভারতে ফারসি যখন অফিস আদালতের সওয়াল জবাবের ভাষা, তদানীন্তন ত্রিপুরা আদালতে মাতৃভাষা বাংলায় বিচার প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য জেলা জজ বাহাদুর থেকে অনুমতি আদায় করে নেন এডভোকেট মোহনী মোহন বর্ধন। ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের প্রথম গণপরিষদে মাতৃভাষা বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার যে সাহসী পদক্ষেপ, সেটিও গ্রহণ করেছিরেন কুমিল্লা বারের কৃতি আইনজীবী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। এছাড়াও কুমিল্লার আইন অঙ্গনে ভাষা সৈনিক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম এডভোকেট-এর মতো মানুষও রয়েছেন যারা পেয়েছেন ভাষা সৈনিক হিসেবে রাষ্ট্রীয় খ্যাতি।